সংবাদদাতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বাঙালি জাতির জন্য নয়, বিশ্বমানবতার জন্য মহামূল্যবান দলিল বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।

তিনি বলেছেন, ৭ মার্চের ভাষণ যুগ যুগ ধরে বিশ্বের নিপীড়িত-নির্যাতিত গণমানুষের মুক্তির অন্যতম অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

শনিবার (৭ মার্চ) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় চবি উপাচার্য এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অসীম সাহসিকতায় লাখো জনতার উদ্দেশ্যে যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন তা মূলত স্বাধীনতা পিয়াসী বাঙালি জাতির ঐক্যের মূলমন্ত্র ও মুক্তির সনদ।

তিনি বলেন, শুধু শোনলে হবে না, কালজয়ী ৭ মার্চের ভাষণের মর্মবাণী হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক-মানবিক চেতনায় উজ্জ্বীবিত হয়ে জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের চলমান উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখতে হবে।

সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনার পরিচালক প্রফেসর সিরাজ উদ দৌল্লাহ। বক্তব্য দেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নাসিম হাসান, চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম, সিন্ডিকেট সদস্য সেতু রঞ্জন বিশ্বাস, শহীদ আবদুর রব হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. এ কে এম মাঈনুল হক মিয়াজী প্রমুখ।

নানা আয়োজনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপিত হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল ফজরের পর মসজিদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের স্ব স্ব উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা।

সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।